ব্লগার কে ফলো ফেসবুকে করুন!

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

বাস্তবতা


it's বাস্তবতা----
--


যে মেয়ে স্কুল লাইফে বোকা ছিল, বসে থাকত কোন এক বেঞ্চের কোনায় হাতে বই নিয়ে।.
কার সাথে কথাই বলত না....
যেন মোমেরপুতুল কথা বলিলেই লজ্জায় গলে যাবে....
অতঃপর ---
সেই মেয়ে কলেজে গিয়ে বয়ফ্রেন্ড বানিয়েছে....
স্কুলের বেঞ্চের কোনার সিটটা এখন বদলি হয়েছে কলেজের কোন চিপাচাপার আম,জাম,কাঠাল ইত্যাদি গাছের তলায়।...
-
অপরদিকে ---
যে ছেলে স্কুল লাইফে বোকা ছিল।..
কারও সাথে কথা বলত না...।
লজ্জাকে অলংকার হিসেবে পরিধান করে থাকত।...
মেয়ে মানুষের দিকে তাকাতোই না...
কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে গেলে হাত পা কাপাকাপি শুরু হয়ে যেত.....।
যে ছেলে মারামারি কে জমের মত ভয় পেত।...
-
সিগারেট এর ধোয়ার গন্ধ নাকে আসলেই কাশতে থাকত....
-
আর এখন সেই ছেলে অনায়েশে একটার পর একটা সিগারেট খাচ্ছে....।
কলিজাটা ফুটো করে ফেলছে সিগারেট এর ধোয়া দিয়ে....
-
অনেক গুলা মেয়ের সাথে রিলেশন করছে।...
রাস্তাঘাট এ ইভটিজিং করে বেরাচ্ছে।...
-
এখন আর মারামারি কে ভয় পায়না কিছু হলেই মারামারি করতে চলে যায়....।
-
পাওয়ার অফ এই লীগ---সেই লীগ....
এই দল ---সেই দল....।
-
এটাকে দিন বা সময়ের বদল বললে ভুল হবে... :)।
এটার সত্যিকার এর নাম হল স্বাধীনতা ---
-এই স্বাধীনতা গুলো দিচ্ছে কারা??
তারা এসকল স্বাধীনতা গুলা পাচ্ছে তাদের পিতামাতা, শিক্ষক এদের কাছ থেকেই....
......
আমাদের বাব-চাচারাও তো পড়াশোনা করছে তারা তো এমন করেন নি।
প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন.....
-
তারা স্কুলে যেত পান্তাভাত খেয়ে আমরা যাই মাছ, মাংস খেয়ে।।।...
তারা স্কুল কলেজে হেটে যেত আর আমরা যাই নিজের গাড়িতে,বাসে, ট্রেনে করে।
-
এই কারনেই তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন...
-
আমরা বাবার টাকায় মজা নিচ্ছি....।
নেশা করছি, জীবন কে থমকিয়ে দিচ্ছি মাঝ পথে....
-
ক্লাস ৭-৮ এর ছেলে যদি কোন দোকানে গিয়ে সিগারেট চায় তাকে দেয়া হয়....।
বাহ!! বেশ ভাল... সব স্বাধীনতা..।
-
কেউ জিজ্ঞাস ও করবে না যে সিগারেট টা কার জন্য বা কেউ বারন ও করবেন না...।
--
একটা মেয়ে যখন টাইট কাপড় পরে ঘুরে বেড়ায় তখন ছেলেরা ইভটিজিং করে...।
অথচ,,
তাকে তার মা-বাবা কখনোই বারন করে না যে এমন ড্রেস কখনও পরিধান করবে না...
-
আসলে এটাই হলো স্বাধীনতা...।
-
আচ্ছা সকলে একবার চিন্তা করে বলেন তো আসলে দোষ কাদের??

কোন মন্তব্য নেই: