"""""A Moral love story""""""" (চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটি ভাল বাসার গল্প।) লেখাঃ 'অ''নি''ক' (অজশ্র কাব্যধারা) আশিক খুব সাধারণ একটি ছেলে..... ঢাকার আদাবরের একটি ক্রাফট এ কাজ করে। তার কাজ ছিল কম্পিউটার এমব্রয়ডারি করা। সেখানে কাজ করে বেশ ভালই দিন কাটছিল তার। ৩বোন ও ২ভাইয়ের সংসার বেশ সুখে কাটছিল। সে একটি সাইকেল এ করে যাওয়া আসা করত। আর এই কাজে যাওয়া আসার মধ্যেই চোখে পরে একটা মেয়ে। নাম তার "সাবিনা". মেয়ে তখন দশম শ্রেনীতে পরে। সে আদাবরের একটা বালিকা বিদ্যালয় এ পড়তো। (বিশেষ কারনে বিদ্যালয়ের নামটা প্রকাশ করা হল না) একদিন সাবিনা স্কুলে যাচ্ছিল আর তার সামনে এসে আশিক দাঁড়াল। সাবিনাঃআপনি কে?আর এভাবে রাস্তার মাঝে দাড়ালেন কেনো? -আপনি না খুবই সুন্দর।আপনি কি আমার বন্ধু হবেন? -আপনার সাহস তো মন্দ নয়।চেনা নেই জানা নেই এমনি রাস্তায় এসে বলেন বন্ধু হবেন? রাস্তা ছাড়ুন আর যেতে দিন... -না আগে বলেন আপনি কি আমার বন্ধু হবেন..?আমি না জেনে যেতে দিব না। (মেয়েটা সাথে সাথে চিৎকার করতে লাগল "ছিন্তাইকারী ছিন্তাইকারী কেউ আমাকে বাঁচান " বলে।) সাথে সাথে কিছু লোকজন সেখানে জড় হয়ে গেল ও আশিক কে মারতে লাগল। আর মেয়েত ততক্ষনে সেখান থেকে চলে গেছে..... আর এদিকে আশিক মার খেয়ে তার মাথা ফাটিয়ে ফেলছে,শরিরে অনেক যায়গায় হেচড়ানোর দাগ।এসব নিয়েই সে তার বাসায় ফেরে। মাথার আঘাত টা কম হওয়ায় সে পরের দিন কাজে যাবার জন্য বের হল আর সে সেই একই পথে যাচ্ছে। পথে আবার সে মেয়ের দেখা।... আশিক মনে মনে বলল তাকে কিছু বলবে না তাই সে মেয়েটার পাশকাটিয়ে চলে যায়। কিছুদূর যেতেই.....পিছন থেকে ডাক। সাবিনাঃএই যে শুনছেন? -জ্বি, বলেন। -কালকের ঘটনাটার জন্য sorry. --এখন এতো কিছু ঘটার পরে বলছেন sorry.। -আমি এর জন্য খুবই দুঃখীত।আর আজ থেকে আমরা বন্ধু। (অবশেষ এ আশিক এর মুখে হাসি ফুটল।) -আচ্ছা আপনার নাম্বার টা কি পেতে পারি? সাবিনাঃসময় মত পেয়ে যাবে।এখন বিদায় নিচ্ছি। নয়ত স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যাবে । -আচ্ছা তাহলে যাও।দেখা হবে। (আর এভাবেই আশিক কাজে আসা যাওয়ার সময় সাবিনার সাথে দেখা করত । কখনও কাজে যাওয়ার সমায়,আবার কখনও কাজ থেকে আসার সময়। আর এভাবেই তাদের সম্পর্ক টা গভীর হয়ে ওঠে। রাত জেগে ফোন আলাপ। আবার প্রতিদিন দেখা করত।) একদিন আশিক,..... আশিকঃসাবিনা আমি তোমাকে ভালবাসি। তুমি কি আমার জীবনসাথী হবে? -উম্ম।আচ্ছা ভেবে তারপড় বলি। -তোমার কাছে একদিন এর সময় আছে ভেবে বল। (আর এদিকে তো সে তার ভাইবোনদের ভূলেই গেছে। তাদের কোন টাকা দেয়না। শুধু তিন বেলা খায় কাজ করে আর ঘুমায়। আপন ভাই তাই ভাই বোনেরা তো ফেলে দিতে পারে নাহ। তাকে প্রতিদিন অনেক বকা শুনতে হতো।... আর অপরদিকে সে তার সকল টাকা মেয়েকে দিতে থাকে।। মেয়ের জামা কাপড় থেকে শুরু করে পড়ালেখার খরচ টাও সে ঈ চালাত। আর কারন ছিল একটাই। তাকে সে অনেক অনেক ভালবাসত..) পরের দিন...... সাবিনাঃআমি তোমাকে,, -আমাকে কি? -অনেক ভালবাসি। (আশিক তো খুশিতে আত্নহারা) ((কিছু দিন পরে মেয়েটার এস.এস.সি পরিক্ষা শেষ হয়ে যায়। যার ফলে মেয়ের বাবা মা তাকে বিয়ে দেয়ার জন্য পাএ দেখতে থাকে..... মেয়ের বাবা মা জানত না যে তার মেয়ে একজনকে ভালবাসে।)) অবশেষ এ মেয়েটার বিয়ে ঠিক হয়ে গেল একটি ছেলের সাথে।নাম_মিঠু। একজন ডাক্তার। মেয়ের বিয়ে ঠিক করা হয় মার্চ মাসের ১৪ তারিখে। কিন্তু ১৪ তারিখের আগেই আশিক ও সাবিনা একটি সরকারি কাজী অফিস এ গিয়ে বিয়ে কিরে ফেলে। পরে ১৪ তারিখে যখন বরযাত্রী মেয়ের বাড়িতে আসে ঠিক তখনি আশিক সেখানে তার বিয়ের কাগজ নিয়ে উপস্থিত হয় আর এতে বিয়েটা ভেংগে যায়। মেয়ের বাবা মায়ের আত্মসম্মানবোধ এ আঘাত লাগে। আর এতে করে সাবিনার সাথে তার বাবা- মার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। আর এদিকে আশিক সাবিনা কে নিয়ে একটা বাসা ভাড়া করে থাকা শুরু করে। আশিক ও তার পরিবারের সবাইকে ভূলে যায়। ভাল বাড়িতে থাকা,ভাল খাবার খাওয়া,পরিবার থেকে বেশি নয়ত? আশিক তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারলেও সাবিনা তার পরিবারের কাছে কখনই যেতে পারবে না। সে কোন অধিকার এ সেখানে যাবে। সে আর এখন তার বাবা-মা এর মেয়ে নয়। আর এর জন্য আজীবন কষ্ট পেতে হবে। ভালবাসা পাপ নয়। আশিক সাবিনার পরিবারের সাথে কথা বলে দেখতে পারত। সাবিনা তার বাবামাকে বুঝাতে পারত। কিন্তু না তারা নিজেরাই পথ বেছে নেয়। যার ফলে পেতে হবে অনেক কষ্ট। অনেক মেয়ে বা ছেলে এমন করে থাকে। যা মোটেও কাম্য নয়। নিজের জীবন নিজেই গড়বো।-- গড়েন সমস্যা নেই। এমন পথে যাবেন না যেখানে আপনাকে কষ্ট পেতে হবে। তাই যা করবেন বুঝেশুনেই করবেন। ""কিছু করার পর ভাবিও না,,বরং,করার আগেই ভাব""
ব্লগার কে ফলো ফেসবুকে করুন!
মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০১৫
""""ভালবাসা ভাল বাশ""""
"""""A Moral love story""""""" (চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটি ভাল বাসার গল্প।) লেখাঃ 'অ''নি''ক' (অজশ্র কাব্যধারা) আশিক খুব সাধারণ একটি ছেলে..... ঢাকার আদাবরের একটি ক্রাফট এ কাজ করে। তার কাজ ছিল কম্পিউটার এমব্রয়ডারি করা। সেখানে কাজ করে বেশ ভালই দিন কাটছিল তার। ৩বোন ও ২ভাইয়ের সংসার বেশ সুখে কাটছিল। সে একটি সাইকেল এ করে যাওয়া আসা করত। আর এই কাজে যাওয়া আসার মধ্যেই চোখে পরে একটা মেয়ে। নাম তার "সাবিনা". মেয়ে তখন দশম শ্রেনীতে পরে। সে আদাবরের একটা বালিকা বিদ্যালয় এ পড়তো। (বিশেষ কারনে বিদ্যালয়ের নামটা প্রকাশ করা হল না) একদিন সাবিনা স্কুলে যাচ্ছিল আর তার সামনে এসে আশিক দাঁড়াল। সাবিনাঃআপনি কে?আর এভাবে রাস্তার মাঝে দাড়ালেন কেনো? -আপনি না খুবই সুন্দর।আপনি কি আমার বন্ধু হবেন? -আপনার সাহস তো মন্দ নয়।চেনা নেই জানা নেই এমনি রাস্তায় এসে বলেন বন্ধু হবেন? রাস্তা ছাড়ুন আর যেতে দিন... -না আগে বলেন আপনি কি আমার বন্ধু হবেন..?আমি না জেনে যেতে দিব না। (মেয়েটা সাথে সাথে চিৎকার করতে লাগল "ছিন্তাইকারী ছিন্তাইকারী কেউ আমাকে বাঁচান " বলে।) সাথে সাথে কিছু লোকজন সেখানে জড় হয়ে গেল ও আশিক কে মারতে লাগল। আর মেয়েত ততক্ষনে সেখান থেকে চলে গেছে..... আর এদিকে আশিক মার খেয়ে তার মাথা ফাটিয়ে ফেলছে,শরিরে অনেক যায়গায় হেচড়ানোর দাগ।এসব নিয়েই সে তার বাসায় ফেরে। মাথার আঘাত টা কম হওয়ায় সে পরের দিন কাজে যাবার জন্য বের হল আর সে সেই একই পথে যাচ্ছে। পথে আবার সে মেয়ের দেখা।... আশিক মনে মনে বলল তাকে কিছু বলবে না তাই সে মেয়েটার পাশকাটিয়ে চলে যায়। কিছুদূর যেতেই.....পিছন থেকে ডাক। সাবিনাঃএই যে শুনছেন? -জ্বি, বলেন। -কালকের ঘটনাটার জন্য sorry. --এখন এতো কিছু ঘটার পরে বলছেন sorry.। -আমি এর জন্য খুবই দুঃখীত।আর আজ থেকে আমরা বন্ধু। (অবশেষ এ আশিক এর মুখে হাসি ফুটল।) -আচ্ছা আপনার নাম্বার টা কি পেতে পারি? সাবিনাঃসময় মত পেয়ে যাবে।এখন বিদায় নিচ্ছি। নয়ত স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যাবে । -আচ্ছা তাহলে যাও।দেখা হবে। (আর এভাবেই আশিক কাজে আসা যাওয়ার সময় সাবিনার সাথে দেখা করত । কখনও কাজে যাওয়ার সমায়,আবার কখনও কাজ থেকে আসার সময়। আর এভাবেই তাদের সম্পর্ক টা গভীর হয়ে ওঠে। রাত জেগে ফোন আলাপ। আবার প্রতিদিন দেখা করত।) একদিন আশিক,..... আশিকঃসাবিনা আমি তোমাকে ভালবাসি। তুমি কি আমার জীবনসাথী হবে? -উম্ম।আচ্ছা ভেবে তারপড় বলি। -তোমার কাছে একদিন এর সময় আছে ভেবে বল। (আর এদিকে তো সে তার ভাইবোনদের ভূলেই গেছে। তাদের কোন টাকা দেয়না। শুধু তিন বেলা খায় কাজ করে আর ঘুমায়। আপন ভাই তাই ভাই বোনেরা তো ফেলে দিতে পারে নাহ। তাকে প্রতিদিন অনেক বকা শুনতে হতো।... আর অপরদিকে সে তার সকল টাকা মেয়েকে দিতে থাকে।। মেয়ের জামা কাপড় থেকে শুরু করে পড়ালেখার খরচ টাও সে ঈ চালাত। আর কারন ছিল একটাই। তাকে সে অনেক অনেক ভালবাসত..) পরের দিন...... সাবিনাঃআমি তোমাকে,, -আমাকে কি? -অনেক ভালবাসি। (আশিক তো খুশিতে আত্নহারা) ((কিছু দিন পরে মেয়েটার এস.এস.সি পরিক্ষা শেষ হয়ে যায়। যার ফলে মেয়ের বাবা মা তাকে বিয়ে দেয়ার জন্য পাএ দেখতে থাকে..... মেয়ের বাবা মা জানত না যে তার মেয়ে একজনকে ভালবাসে।)) অবশেষ এ মেয়েটার বিয়ে ঠিক হয়ে গেল একটি ছেলের সাথে।নাম_মিঠু। একজন ডাক্তার। মেয়ের বিয়ে ঠিক করা হয় মার্চ মাসের ১৪ তারিখে। কিন্তু ১৪ তারিখের আগেই আশিক ও সাবিনা একটি সরকারি কাজী অফিস এ গিয়ে বিয়ে কিরে ফেলে। পরে ১৪ তারিখে যখন বরযাত্রী মেয়ের বাড়িতে আসে ঠিক তখনি আশিক সেখানে তার বিয়ের কাগজ নিয়ে উপস্থিত হয় আর এতে বিয়েটা ভেংগে যায়। মেয়ের বাবা মায়ের আত্মসম্মানবোধ এ আঘাত লাগে। আর এতে করে সাবিনার সাথে তার বাবা- মার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। আর এদিকে আশিক সাবিনা কে নিয়ে একটা বাসা ভাড়া করে থাকা শুরু করে। আশিক ও তার পরিবারের সবাইকে ভূলে যায়। ভাল বাড়িতে থাকা,ভাল খাবার খাওয়া,পরিবার থেকে বেশি নয়ত? আশিক তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারলেও সাবিনা তার পরিবারের কাছে কখনই যেতে পারবে না। সে কোন অধিকার এ সেখানে যাবে। সে আর এখন তার বাবা-মা এর মেয়ে নয়। আর এর জন্য আজীবন কষ্ট পেতে হবে। ভালবাসা পাপ নয়। আশিক সাবিনার পরিবারের সাথে কথা বলে দেখতে পারত। সাবিনা তার বাবামাকে বুঝাতে পারত। কিন্তু না তারা নিজেরাই পথ বেছে নেয়। যার ফলে পেতে হবে অনেক কষ্ট। অনেক মেয়ে বা ছেলে এমন করে থাকে। যা মোটেও কাম্য নয়। নিজের জীবন নিজেই গড়বো।-- গড়েন সমস্যা নেই। এমন পথে যাবেন না যেখানে আপনাকে কষ্ট পেতে হবে। তাই যা করবেন বুঝেশুনেই করবেন। ""কিছু করার পর ভাবিও না,,বরং,করার আগেই ভাব""
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন