-এই,তুমি কোথাও আছো?আজকে কিন্তু ছুটির দিন আবার কাজে নয়ত?
-বাসায় আছি।কেন ফোন দিলে?
-আজকে কি জানো না?
-কি ,তোমার জন্মদিন?
-আরে আজ পহেলা বৈশাখ ।তুমি এটাও ভূলে গেছো?
-না তাতো মনে আছে।আমি ভাবছি তোমার জন্মদিন ।
-তাহলে জলদি রেডি হয়ে আমার বাসার সামনে চলে আস।আজ তোমাকে নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়াব।
-আচ্ছা আমি ১ ঘন্টায় আসছি।
-আচ্ছা তাহলে এখন রাখি?
-আচ্ছা রাখ।
(আরে এই দিনটা কেন যে উদযাপন করা হয়।দিনটা আসলেই ছেলেদের পকেট খালি হয়ে যায়)
১ ঘন্টা পর দেখা.......
-এই নাও এসে পরছি।
-হুম্ম ভাল করেছ।ভাবছিলাম আসবেই না.।
-কেন আসতে বলছ? এবার বল।
-আরে কি আজব তো! !!!তোমাকে না বললাম যে তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাব।
-ও,,তাহলে কোথায় যাবা সেটা বল?
(৫ মিনিট ভেবে...)
-উম্ম..চল মেলায় যাব।
-আরে মেলায় গিয়ে কি করবা।?আরও তো অনেক জায়গা আছে?
-সেই ছোট বেলাতে মেলায় গিয়েছিলাম বাবার সাথে।আমাদের গ্রামের বাড়িতে।
এর পর আর যাওয়া হয়নি তাই আজ বড় ইচ্ছে হচ্ছে।
-আচ্ছা চল।
(অবশেষ এ একটা মেলায় পৌছলাম।মেলায় দেখি মানুষের গাদাগাদি।মেলায় ঢুকতেই প্রায় ১ ঘন্টা লাগল।তাও অনেক কষ্টে।মেলাটি যেন পরিনত হয়েছে এক মিলনায়তনে)
-নাও এসে পরেছি মেলায়।এখন কি করবে?
-এখন,,উম্ম,,চল নাগরদোলায় উঠি।
-নাআমি উঠব না।আমি ভয় পাই।
-তুমি আমাকে জরিয়ে ধরে রেখ আর ভয় পাবে না।
(তার অনেক অনুরোদ এ উঠলাম।
প্রথম একটা ঘোরান দেয়ার পর কিছু বুঝি নি।দ্বিতীয় ঘোরান দিতে মনে একটা ভয় লেগে গেল আর সাথে সাথে জরিয়ে ধরলাম রিতাকে।কিছু ক্ষণ পর নাগরদোলা থেকে নামার পর......)
রিতাঃএই ছেলে এতো ভয় পাও কেন?
-আমিতো আগেই বললাম যে আমি ভয় পাই।সেই ছোট বেলায় উঠছিলাম আর সাথে সাথে নেমে এক দৌরে বাড়িতে এসে পরছিলাম।
(সে আমার কথা শোনে অট্ট হাসি হাসছে আর আমি অবাক ভাবে তাকিয়ে দেখছি।)
-এই তুমি হাসছ কেন?
-এমনি।আজ আমি সাথে না থাকলে মনে হয় স্ট্রোক করতা?
-হুম্ম ঠিক বলছ।আর তুমি না থাকলে আমি বাচব কি করে?আমার প্রানের একটা শিরা যে জরিয়ে আছে তোমার সাথে।
-যাও।
(একটু হেসে,মনে হয় লজ্জা পাইছে)
রিতাঃএই চল না ফুচকা-চটপটির দোকানে.।
-চলো!!
একটা দোকানে যাওয়ার পর দুই প্লেট ফুচক দিতে বললাম।
ফুচকাওয়ালাঃঝাল কেমন দিব?
রিতাঃএকটু বেশিই দিন?
কিছুক্ষণ পরে ফুচকাওয়ালা প্লেট দুইটা দিয়ে গেল।
মুখে দিতেই মনে হল জিভে মনে হয় আগুন জ্বলছে।
আর এদিকে রিতাতো খুব মজা করেই খাচ্ছে আবার আরও মরিচ এর গুড়ো নিচ্ছে।
আমি তো অবাক এই মেয়ে এত ঝাল খায় কিভাবে?
রিতাঃএই খাচ্ছো না কেন?
-না মানে....এমনি ভাল লাগছে না।
-এই তোমার নাক লাল কেন আর চোখে পানি?কি হয়েছে?
-কিছু না।ঝালের কারনে আরকি।
রিতা আবার হাসছে....
লোকটা যখন জানতে চাইল তখন তো কিছু বললে না?
-তুমি তো বলেই দিলে.তাই।
(সময় তখন দুপুর ৩ টা)
-আচ্ছা চল এবার বাড়িতে চল
যাই।বিকাল হলে মেলা থেকে বের হতে অনেক সময় লাগবে।
-আচ্ছা চলো।
(আমার হাতে একটা ব্যাগ আর এর মধ্যে ছিল কিছু জিনিশ পএ যা মেলা থেকে কেনা।)
বিকেল ৫ টায় বাসায় পৌছালাম।
বাজ্ঞালীরা হয় ঈ এরকম।
একটা দিবস পেলেই তাকে নিয়ে লাফালাফি করা চিল্লাফাল্লা করে।
হয় তা স্বাধীনতা দিবস,না হয় বিজয় দিবস,ও ভালবাসা দিবসবা পহেলা বৈশাখ।
যা মোটেও কাম্য নয়।
আগে শুধু সনাতন ধর্মের লোকেরাই এই দিনটি অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ পালন করত।
কিন্তু কালের পরিবর্তন এর ফলে হয়েছে রথ বদল আর যা এখন পালন করে মুসলিমরাই।
আর যার একমাএ কারন হল আধুনিকতা,ফেশন ইত্যাদি।
যার ফলে আজকের দিনে বাজ্ঞালীর প্রানের উতসব হল পহেলা বৈশাখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন