******** সত্যমিথ্যা ********
★
↓
বাড়ীর সামনে ঢপঢপ শব্দে বল খেলছিল অনিক।
কিছুক্ষন পর তার সামনে এসে একটা বেবিট্যাক্সি এসে থামল।
বেবিট্যাক্সি হতে বিশাল আকারের তিন ব্যক্তি নামল।
পরে অনিক বুঝল যে ব্যক্তি গুলো হলো দুইটা মহিলা আর একটা ছোট ছেলে।
.
.
এক মহিলা তাকে জিজ্ঞাস করলেন --
""সুলতানা দের বাড়ি কোথায় জান,খোকা??"""
অনিক ইশারা করে তাদের বাড়ি দেখিয়ে দিয়ে বলল ওইযে আমাদের বাড়ি।
"" ও তুমি সুলতানার ছেলে!! তোমার আম্মুকে গিয়ে বল তার খালারা এসেছেন।
সাথে একটা বাকা হাসি মারলেন।
.
.
অনিক তার মাকে খবর দিয়ে ড্রইংরুম এ এসে বসল।
সে দেখল মোটা ছেলেটা বুকশেলফ এর বই গুলো উল্টাপাল্টা করছে।
-অই বই উলটোপালটা করো না মা কিন্তু তোমাকে মেরেই ফেলবে।...
-হুহ!এতোই সহজ?
-এই,ভোম্বল বই রাখ। দুষ্টামি করবে না।
.
.
সে সময়ই সুলতানা এলেন...
-আরে রেনু খালা!! তোমাদের দেখে আমি যে খুশি হয়েছি।
.
সে সময় অনিক চেঁচিয়ে উঠে বললো,....
""ও মা তুমি এই না বললে,একেবারে কাজের সময় লোক এসে হাজির।
যত্তসব!!তাছাড়া তো আজ আমাদের সিনেমা দেখতে যাওয়ার কথা।""
-
খালাদের চেহারা দেখার মত হলো।...
-
-""ঠিকই তো এখন তো তর কাজ আছে।আমরা যাইরে তাহলে।""
- না না খালা ছেলেটা যে কিভাবে এতো মিথ্যাবাদী হয়েছে।
-
(সুলতানার মাথায় বজ্রাঘাত। একি! সর্বনাশা ছেলে..।
তিনি না হয় দুইটা কথা বলেই ফেলছেন তাই বলেকি হাটে হাড়ি ভাজ্ঞতে হবে?)
-না আমার এখন কোন কাজ নেই -(সুলতানা)
-একি মা?এই মাত্র না আমাকে বললে,"বাবারে,শুনে গা জ্বলে গেল অসময় এ লোক বেড়াতে আসা""
.
.
অনিক এতো তাড়াতাড়ি কথা বলে যে তাকে থামানো যায়না।...
-
অতঃপর সুলতানা অনিক কে রুম হতে বের করে দিলেন।...
..
..
সুলতানা ছেলের কান ডলে লাল করে দিলেন।....
-"যা রুম থেকে বেরো ভাগ।তোকে ভূতে পেয়েছে আজকে।তোমরাই বল খালা কেবল বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে।""
..
..
তার পর শুরু হলো তাদের মেয়েলি আলাপ।....
খালারা নাকি শাড়ি কিনে আলমারি বোঝাই করে ফেলছেন। আর সুলতানা কিনছেন না??
এই আলাপ সেই আলাপ আরকি।--
.
.
তাদের গল্প থামানোর জন্য অনিক আর তার বড় আপু অতিথিদের জন্য চা আর খাবার নিয়ে আসে,বড় সন্দেশ, সিঙ্গাড়া,নিমকি ইত্যাদি।
খালারা "এই খাব না নিয়ে যাও""।....
অতঃপর খাব না খাব না করে সব কিছু চেটেপুটে খেয়ে শেষ করে ফেললেন।...
সবচেয়ে বেশি খেয়েছে মোটা ভোম্বল ছেলেটা।খাদক কোথাকার।...
-
-
--এই অনিক দেখতো তোর বাবা এসেছেন অফিস থেকে?বল গিয়ে খালারা এসেছেন। -(সুলতানা)
******
অনিক পট পট করে বলে,"এসেছেন তা বাবা খুব জানেন তাইতো চেটে মেটে লাল হয়ে আছেন।বললেন,-খালারা বেড়াতে আসার আর সময় পেলনা?আমাদের সিনেমাটা পচাবার জন্য আজকেই আসতে হলো?
..
..
সুলতানা শুনে হতবাক...
"হায়,হায়,কি করবেন নিজের গালে নাকি ছেলের গালে চড় বসাবেন?
..
..
খালারা বললেনঃ--
-আচ্ছা আমরা উঠি তোমাদের অনেক ক্ষতি করে গেলাম।
সুলতানা ফ্যাল ফ্যাল করে চেতে রইল।
ভোম্বল জুতার মধ্যে পা গলাচ্ছে।...
..
..
-বাব্বা!তোমরা আর কত দেড়ি করবেন? (অনিক)
..
..
খালাদের হার্টফেল করার অবস্থা।.....
তারা চলে গেলেন। যাওয়ার সাথে সাথে সুলতানা অনিক কে ঠ্যাঙ্গাতে লাগলেন।
-শয়তান ছেলে বল কেন তাদের এমন কথা বললি?বল বল শীগগির। নয়তো তর একদিন কি আমার একদিন। "
..
..
গোলমাল শুনে অনিকের বাবা এসে হাজির।....
সুলতানা তাকে সকল কান্ড বললেন তার বাবাও শুনে রেগে আগুন।!
..
..
আচ্ছা আপনারাই বলেন তো দেখি যে ছেলে বাইরের মানুষের সামনে নিজের মা-বাবার অপমান করে তাকে মারলেই কি রাগ মিটে যাবে?
.
অনিক কান্না করছে আর বলছে।
"তোমরাই তো বলছ সব সময় সত্য কথা বলতে?
তাই সত্য কথা বললাম....।
..
..
আসলেও ছেলের কি দোষ?
ছেলেতো সত্য কোনটা আর মিথ্যা কোনটা সেটাই জানেনা।
-
লেখাঃ Anik hasan ( মজ্ঞলগ্রহের এলিয়েন )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন