ব্লগার কে ফলো ফেসবুকে করুন!

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

নামহীন গল্প


-এই শুভ্র....। (অদীতি)
-হু,কী?
-চলো,,, ।
-কোথায়??
-আমার বাসায়,আমার বাবা তোমাকে দেখতে চেয়েছে।আর তোমার সাথে কিছু কথাবলবেন ...
-ও ঠিক আছে যাব কিন্তু এখন না বিকেল বেলা।..
-আচ্ছা আমার বাসায় চলে এসো বিকেল বেলায়।
-আচ্ছা।..
-
শুভ্র একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে....।
বাবা নেই মারা গেছেন।..
তার পরিবারে আছে বাবা মা ও দুই বোন।...
তাই তাকেই সংসার চালাতে হয়...।
তার বাবাতো আর টাকার পাহাড় গড়ে দিয়ে যাননি যে তারা বসে বসে খাবে.....।
******
ছেলেটা টিউশনি করে সংসার চালায় আবার নিজের ও তার দুই বোনের পড়ালেখার খরচ চালায়।...
-
সে গরিব বলে তার কোন কষ্ট নেই।..
সে অপরের মুখে হাসি ফুটাতে পারলেই নিজে খুশি হয়....।
সে যে ঘরে থাকে তার দশাও ভাল না....।
বৃষ্টি হলে টিনের ছিদ্র চালা হতে পানি গড়িয়ে পরে শরিরের উপর।
-
বুঝতেই পেরেছেন যে শুভ্র কেমন ছেলে একদমই গরিব।...
-
শুভ্র ছেলেটা আজ একটু বেশিই খুশি কারন,অদীতির বাবা তাকে ডেকেছেন।...
সে খুশি এই কারনেই যে তার বাবা হয়ত তাদের বিয়ের ব্যাপার এ কথা বলবেন...
-
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল।....
-
ঘড়িতে বিকেল ৪:৩৭মিনিট...
***
শুভ্র অদীতি দের বাসায় গিয়ে পৌছাল।.....
বিশাল বহুতল ভবন....।
ভবনটি আট তলা বিশিষ্ট। পঞ্চম তলায় অদীতির পরিবার থাকে।.....
-
(ওহ দুঃখিত বলাই তো হয়নি অদীতির পরিবার সম্পর্কে....।
অদীতির একটা ছোট ভাই, মা-বাবা কে নিয়ে ছোট পরিবার।...
বাবা বিশাল ব্যবসায়ী,খুব ধনী।...
এই তার পরিবার)
-
শুভ্র নিচ হতে অদীতিকে ফোন দিল।...
-শুভ্র তুমি কোথায়?
-এইতো তোমার বাসার নিচে।..
-সত্যি!! তুমি একটু দাড়াও আমি নিচে আসছি।...
-আচ্ছা...
**(কিছুক্ষনের মধ্যেই মেয়েটা নিচে এসে পৌছাল। হাফিয়ে গেছে মেয়েটা।...)
*** অতঃপর.........
অদীতি তাকে তার বাসায় নিয়ে গেলো....।
কিছুক্ষণ বসার পরে তার বাবা তাদের মাঝে আসল.....
শুভ্র বিনয়ের সাথে সালাম দিল....
-
-নাম কি তোমার?
-জ্বী,শুভ্র।....
-বাসা কোথায়?
-এইতো পাশেই *****
(জায়গার নামের স্থলে *** ব্যবহার করা হলো)
-ও আচ্ছা কি করো?
-জ্বী, টিউশন দেই।...
-কত টাকা পাও মাসে?
-১০-১২ হাজার টাকা।....
-এই অদীতি যাও কিছু নাস্তা নিয়ে আস আমি ততক্ষণ কথা বলি।....
-আচ্ছা বাবা তোমরা কথা বল আমি আসছি।-- (অদীতি)
-তোমার বাসা কেমন?
-একদমই নিন্মমানের... .।ইটের দেয়াল উপরে টিন এর ছাদ....
(আসলে এসব অদীতির বাবার কাছে কিছুই না...।
এটা জানা সত্তে ও শুভ্র কোন দ্বিধাবোধ করল না।...
কারন তার ঘড় তার কাছে রাজমহল।...
সে সেখানেই থেকে সর্গীয় সুখ পায়...।
তাই আর লজ্জা কিসের গরিব তো কি হয়েছে?মানুষ টা তো ভাল)
-ও আচ্ছা, আমি কোথায় থাকি??কি করি তাতো তুমি জানোই?
-হ্যা....
-আমি অদীতির সামনে কিছু বলতে পারবনা তাই এখুনি বলছি তোমাদের বিয়ে হবেনা.....।
আমার মেয়েকে নিয়ে রাখবে কোথায়?
কি খাওয়াবে,কী পড়াবে?
তুমি পারবে না....।
ভুলে যাও অদীতিকে আর কখনো তার সামনে আসবে না...।
-জানতাম এমন কিছুই বলবেন।... আপনাদের সমস্যাটাই হলো এখানে যে অহংকার দেখান...।
আচ্ছা যান ভুলে গেলাম আপনার মেয়েকে।...
এই দিন দিন নয় এখন বহু সময় বাকি....
একদিন আমিও ধনী হব তবে আপনার চাইতে বেশি....
সেদিন আপনার মেয়ের চাইতে আরো ভাল মেয়ে আমি পাব....।
-অই বেটা ফকির যা বের হ আমার বাসা থেকে.....কামাই নেই দুই টাকার সপ্ন কোটি টাকার....
-শোনেন স্যার এইটা সপ্ন।.. একদিন অবশ্যই পূরন হবে...।
গেলাম স্যার....।
**(অতঃপর শুভ্র ছেলেটা চলে গেলো।...)
-বাবা শুভ্র কোথায়?? ( অদীতি)
-ও তোকে বিয়ে করবে না।...
**(তার বাবা তাকে মিথ্যা কথা বলল।...
আর এদিকে--- অদীতি তা সত্যি ভেবে শুভ্রকে ছুড়ে ফেলে দিল ঘৃনার চার দেয়ালের মাঝে....।
ভুলে গেল তাকে.....।)
***
শুভ্র বিষন্ন মনে রাস্তায় হাটছে...ফোনটাও অফ করে ফেলছে।.....
এখন তার একটাই স্বপ্ন তাকে ধনী হতে হবেই....।
*****
রাত ৯ টা---
সে বাসায় পৌছাল ও পরের দিন সে তার পরিবার কে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেল....।
***
আর এদিকে অদীতি তাকে অনেক খুঁজে কিন্তু পায়না....।
ফোন দিয়েও লাভ কি সে তো আগের নাম্বার টা বন্ধ করেই ফেলছে।....
-
ধিরে ধিরে অদীতি তাকে ভুলে যায়....
-
ছেলেটা খুব কষ্ট করে।....
অবশেষে এ সে একটি সরকারি কলেজের লেকচারার হিসেবে চাকরি পায়...
বেশ ভাল বেতন....
-
হয়তো ছেলেটা একদিন আরও বড় হবে অনেক বড়.....।
যখন তাকে সবাই একনামে চিনবে।....
-
জীবন কখন থেনে থাকেনা.....
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে জীবন বদলায়....।
একজন ধনী ব্যক্তি সময়ে ফকির হয়ে রাস্তায় নেমে যেতে পারে.।
আবার একজন ফকির ধনী হয়ে যেতে পারে....।
-
সব সৃষ্টি কর্তার উপর....।
-
আপনি যেমন আছেন তাতেই খুশি থাকেন....।
গল্পের শুভ্র এর মত কষ্ট করতে থাকেন দেখেন আপনি সফল হবেন....।
আপনাকে সেদিন কিছু চাইতে হবেনা তা আপনার কাছেই আসবে....।
-
আর মহাণ আল্লাহ যদি আপনার ভাগ্য অন্য ভাবে লিখে তাহলে তা আপন

কোন মন্তব্য নেই: