ব্লগার কে ফলো ফেসবুকে করুন!

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

শিক্ষনীয়

একজোড়া কপোত কপোতির মাঝে কথোপকথন ----
*
-এই তুমি এগুলো কি পরছো?
-শাড়ি পরেছি,অই যে তোমার গিফট দেয়া শাড়িটা!
-তাতো আমিও দেখতে পাচ্ছি যে এইটা একটা শাড়ি,কিন্তু শাড়ি এভাবে পরছো কেন?
-মন চাইছে পরছি কেন কী হইছে...?
-শোন এইটা এমরিকা না যে ছোট ছোট কিংবা নতুন ডিজাইনের পোশাক পরিধান করবে?
-আচ্ছা শাড়িটা কি বাংলাদেশের পোশাক না?
-শাড়ি বাংলাদেশের পোশাক ঠিকই কিন্তু তোমরা এর অবমাননা করো।এই কেমন পোশাক যেইটা পরলে শরীরের দেহখানা দেখা যাবে?পিঠ খোলা দেখা যাবে,তাহলে তো কাপড় না পরলেই পারতে।...
-
কী বুঝলেন? একটা লোক তার স্ত্রী কে তার লেবাস, তার চালচলন, তার পর্দা ঠিক করতে বলছেন...
কিন্তু লাভ কী যদি স্ত্রী না মানে?
একটা নারীর উপরে তার সম্পূর্ণ অধিকার নিহিত। কিন্তু কোন পর পুরুষ এর তো কোন অধিকার নেই?
তাহলে কেন এমন জিনিশ পরবেন যা দেখে কোন অচেনা ব্যক্তি আপনাকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে?
-
স্ত্রী কে পর্দার সাথে চালানো তার স্বামীর দায়িত্ব, তবে কেন একটা স্বামী তাকে ভাল পথ দেখাবে না?
-
আসলে কী আমাদের দেহের শিরায় শিরায় আধুনিকতার ডিএনএ মিশে গেছে,আর এই আধুনিকতার কারনেই আজকে এই অবস্থা।....
-
আধুনিকতার মানে কী?মেয়েদের জিন্সপ্যান্ট আর টিসার্ট পরা?একটা স্ত্রীর আধাখোলা শাড়ী পড়া?
তাহলে এমন আধুনিকতার দরকার কী?যা দ্বারা আপনার মান খুন্ন হবে? দশ জন পরপুরুষ এর নজড়ে আসবেন?
-
এর পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়ি কারা জানেন,যারা এসকল কাজে বাধা দেননা।
একটা মহিলার স্বামী,একটা মেয়ের বাবা মা এরা।
যদি তারা তাদের ভাল শিক্ষা দিতেন তাহলে আর মেয়েতা এমন হতোনা....।
-
অনেক মেয়ে আছে যারা নামে মাত্র মুসলিম কিন্তু আরবি হরফ ২৯ টির একটাও জানেনা,তার পরেও সে মুসলিম।
শুধু মেয়ে না অনেক ছেলেরাও আছে।-
কারন তাকে ইসলামিক শিক্ষা দেয়া হয়নি।
-
যখন একটা মেয়ে খারাপ পোশাক পরিধান করে তখন এর বিরুদ্ধে কথা বলা উচিৎ তার পিতামাতার তার স্বামীর। বাইরে সমাজের কোন ব্যক্তির না।তারা তো সেই মেয়েটাকে উপভোগ করবে,বিনা টাকায় বলিউড এর ছবি দেখার মত।
-
তাহলে কেন আপুরা নিজেকে অন্যের কাছে বিক্রিত করছেন? কেন পাপের ভাগিদারী হচ্ছেন?কী উত্তর দিবেন আধুনিকতা এর মূল কারন?
-
এর পেছনে কোন ছেলে বা মেয়েকে দোষারোপ করা ঠিক হবেনা।এর প্রতি দোষ গুলা সমান সমান।....
কেননা মেয়েটা অশ্নিল কাপড় পরিধান করছে যার ফলে একটা ছেলের চিন্তা দ্বারা নষ্ট হচ্ছে, তার বিবেকে পশুত্ব ভাব নাড়াচাড়া দিচ্ছে।
তাই শুধু একটা মেয়ে বা ছেলেকে দোষারোপ করাটা ঠিক হবেনা।...
-
একটা মেয়ের মাঝে যদি পরকালের ভয় থাকে তাহলে সে ঠিকই ভালভাবে চলবে আর এতে করে হয়ত একটা ছেলেও ও ভালভাবে চলবে।
আর এর জন্য একটা অভিভাবক এর দায়িত্ব অনেক বেশি।
কিন্তু এখানে তো আর একটা ছেলে বা মেয়ে নেই যে সে ঠিক হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে?
-
আর যার ফলে আমাদের এই আধুনিক সমাজে নতুন নতুন জিনিশ এর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে,ইভটিজিং, র‍্যাপিং যার মূলে রয়েছে গোটা যুব সমাজ। কিন্তু যুব সমাজ টা এমন তো আর নিজে নিজে হচ্ছেনা? এই যুবসমাজ টাকে নষ্ট করার পিছনে শুধুমাত্র পতিতা নারীরাই দায়ী!
-
আর যে মেয়েটা পরকালের উপরে আস্থা রাখে,ভয় কতে সেই আল্লাহ কে যিনি তার সৃষ্টিকারী। সে কখনই আধুনিকতা দেখাতে গিয়ে নিজেকে বিক্রিত করবেন না।আর যুব সমাজ কে ধ্বংসের দিকে ফেলবেন না।
-
আজকের শিশুরাই নাকি আগামীর ভবিষ্যৎ, কিন্তু একটা ছেলে মেয়ে শিশু আছে ততদিন সে একটা দেশের সম্পদ, আর যখন সে কিশোর কিশোরী হচ্ছে তখন সে আর দেশের সম্পদ থাকে না।কারন তখন যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যায়,যার ফলে দেশের ভবিষ্যৎ গুলার আগামমৃত্যু ঘটে....।
-
কী হল তাহলে? সমাজ,দেশ তো এইকূলে ও না ওই কূলেও না ঠিক মাঝখানে... ।
-
আর কিছু বলতে চাইনা,আসুন সকল ভাই বোনেরা সচেতন হই,জাগ্রত করি নিজেদের চিন্তাদ্বারা।দেশটাকে বিকৃত করা থেকে দূরে থাকি...।
সালাম সে সকল ভাই -বোন, পিতামাতা দের যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলেন,এ সুশিক্ষা দিয়েছেন তাদের কে।
-
বিঃদ্রঃ এতখন কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কারও কাছে খারাপ লাগলে দুঃখিত।.
.
লেখাঃ Anik hasan ( মঙ্গলগ্রহের এলিয়েন)

কোন মন্তব্য নেই: