পৃথিবীতে এমন কিছু দিন,উৎসব রয়েছে যা শুধু ঘৃনার। তবুও বিবেকহীন মানুষ সে সকল উৎসব পালন করে যায়,অথচে পিছনের অতীতকে প্রাধান্য দেয় না যার ফলে তারা সেই দিবসের ইতিহাস টাই জানা হয়না,আর এর ফলেই হয়তো অনেককে এই বীজাতিয় উৎসব কে আগলে নিয়েছে,আঁকড়ে ধরেছে আপন করে। লাভ কী সেই উৎসব পালন করে যেটা মুসলিম দের জন্য ঠিক নহে!তেমনি একটা উৎসব হলো ""এপ্রিলফুল ডে"" এই দিবসটার মূলভাব হয়তো সবাই জানেন না, তাই আজকের এই পোষ্ট টা :)
.
এপ্রিল ফুল দিবসটি সৃষ্টির সাথে রয়েছে মুসলমানদের করুন ও হৃদয়র্স্পশী এক ইতিহাস। ১ এপ্রিলের এই ইতিহাস অন্যান্য জাতি জানলেও অনেক মুসলিম জাতি না জানার কারনে এই বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে।
তৎকালীন ইউরোপীয় দেশে স্পেনে মুসলিম সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদ এর নেতৃত্বে ৭১১ খ্রীঃ ইসলামি পতাকা উড্ডীন হয় এবং মুসলিম সভ্যতার গোড়পত্তন হয়। সুদীর্ঘ প্রায় আটশ বছর পর্যন্ত সেখানে মুসলমানদের গৌরবময় শাসন বহাল থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে আস্তে আস্তে মুসলিম সম্রাজ্যে ঘুনে ধরতে শুরু করে এবং মুসলিম শাসকরাও ভোগ বিলাসে গা ভাসিয়ে দিয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। ফলে মুসলিম দেশগুলোও ধীরে ধীরে মুসলমানদরে হাত ছাড়া হয়ে খ্রীস্টানদের দখলে যেতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসে স্পেনের পালা। মুসলিম শাসনে নেমে আসে পরাজয়ের কাল ছায়া। খ্রীস্টান জগত গ্রাস করে নেয় স্পেনের বিজয় পতাকা। এক পর্যায়ে মুসলিম নিধনের লক্ষ্যে খ্রীস্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিয়ে করে পর্তুগীজ রানী ইসাবেলাকে। যার ফলে মুসলিম বিরোধী দুই বৃহৎ খ্রীস্টান শক্তি সম্মিলিত শক্তি রুপে আত্নপ্রকাশ করে। রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্যান্ড খুঁজতে থাকে স্পেন দখলের মোক্ষম সুযোগ। পরবর্তীতে মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল গ্রানাডার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। একপর্যায়ে মুসলমানদের অসতর্কতার সুযোগে খ্রীস্টান বাহিনী ঘিরে ফেলে গ্রানাডার তিন দিক । এক মাত্র মহাসমুদ্রই বাকী থাকে মুসলমানদের বাচার পথ। অবরুদ্ধ মুসলমানগন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক ছুটতে থাকে। মুসলমানদের এই অসহায় অবস্থায় রাজা ফার্ডিন্যান্ড প্রতারনার আশ্রয় নেন। তিনি দেশব্যাপী ঘোষনা করে দেন - "যারা অস্র ত্যাক করে মসজিদগুলোতে আশ্রয় নেবে এবং সমুদ্র পাড়ে রক্ষিত নৌযানগুলোতে আরোহন করবে তাদেরকে সবরকমের নিরাপত্তা দেওয় হবে"। এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে মুসলমানগন যেন আশার আল খুজে পায়। সরল মনে বিশ্বাস করে মুসলমানগন মসজিদ ও নৌযানগুলোতে আশ্রয় গ্রহন করে। কিন্তু ইতিহাসের জঘন্য নরপিশাচ প্রতানক রাজা ফার্ডিন্যন্ডি তালা লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোতে এবং মাঝ দরিয়ায় ভাসিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে। এরপর বিশ্ব মানবতাকে পদদলিত করে ঐ মানুষ নামের পশু ফার্ডিন্যন্ডি আগুন লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোর চার পাশে এবং মধ্যসমুদ্রে ডুবিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে। ফলে অগ্নিদগ্ধ ও পানিতে হাবুডুবু খাওয়া লক্ষ লক্ষ নারি পুরুষ আর নিষ্পাপ শিশুর আর্ত চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে স্পেনের আকাশ বাতাশ।মুহূর্তের মধ্যে নির্মমভাবে নিঃশেষ হয়ে যায় সাত লক্ষ মুসলমানের তাজা প্রান। আর এরি মধ্যে ইতি ঘটে স্পেনের আটশ বছরের মুসলিম শাসনের, আর পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত হয় মনবতা লঙ্ঘনের নির্মম অধ্যায়।
যেদিন এই মর্মন্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন ছিল ১৪৯২ খ্রীস্টাব্দের ১লা এপ্রিল। তখন থেকে মুসলমানদেরকে ধোঁকা দেওয়ার সেই নিষ্ঠুর ইতিহাস স্মরনার্থে খ্রীস্টানরা প্রতি বছর এপ্রিল ফুল পালন করে আসছে।
দুঃখের সাথে বলতে হয় "এপ্রিল ফুল" এর প্রকৃত ইতিহাস সর্ম্পকে না জানার কারনে আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের দুর্ভাগ্যকে আনন্দের খোরাক বানিয়ে এপ্রিল ফুল পালন করছি। আমরা আর কতকাল আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকব ? নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য সর্ম্পকে অজ্ঞতার ধরা আর কতদিন আমাদের মধ্যে বিরাজ করবে। অথচ এই অজ্ঞতাই আমাদের জন্য সবচেয়ে মারাত্নক কাল হয়ে দেখা দিয়েছে।...
।
বিঃদ্রঃ কেউ তর্ক-বিতর্কে আসতে চাইলে আসতে পারেন। :)
।
অনিক হাসান শুভ্র
অনিক বিডি ব্লগ
নিজের লেখা কিছু গল্পের সমাহার নিয়ে আমার নিজস্ব ব্লগ!আশা করি পাশে থাকবেন!
ব্লগার কে ফলো ফেসবুকে করুন!
মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬
এপ্রিলফুল ডে!
রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬
নামহীন গল্প
মেয়েটা গাল ফুলিয়ে পুকুর পাড়ে বসে আছে।মেয়েটা মনে হয় অভীমানের সাথে রিলেশন করে ফেলছে।....
তাই সামনে যেতেও ভয় করছে,মেয়েটা পুকুর পা,রে বসে অনায়াসে পানিতে ইটের কনা ফেলছে, তাও অনেক জোড়ে জোড়ে।আসলে হয়েছে টা কি সেটাই জানিনা।--
-
-এই যে ম্যাম শুনছেন?
*আরচোখে বলল জ্বী বলেন।
-আপনাকে না বলছি এভাবে আরচোখে তাকাবেন না,আমার মনে আঘাত লাগে।-
-লাগলে আমার কী,নিজে যখন আমাকে আঘাত দাও তখন আমার কেমন লাগে?
-আমি আবার তোমাকে কবে,কখন আঘাত দিলাম?
-রাখ আর সাধু সাজার প্রয়োজন নাই,আমি সব দেখছি আর বুজছি।!!
-দেখছো,বুজছো মানে কী?কী দেখছো?
-আরে রাখো তোমার নাটক, আমি কে তোমার?আমার কাছে কেন আসছো?
-তুমি আমার কে মানে? আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না,যা বলবে সরাসরি বল।...
-বুঝতে পারছো না তাই?যাও অই মেয়েটার কাছে যাও সব বুঝিয়ে দিবে,দেখছি তো সব দেখছি।রিকশায় একসাথে বসে, আবার রেস্টুরেন্ট এ গেছো-
-অই তুমি এক ললাইন সবসময় বেশি বুঝ কেন?ওই মেয়েটা কে জানো?
-হুম্ম, জানি! বলবা "আমার কাজিন""। তোমার তো কাজিনের অভাব নাই,একদিন পর পর একটা কইরা কাজিন পাও...হুহ!!
-আরে বোকা মেয়ে ও আমার বোন,আপন বোন সিম্মি,কাজিন না!
-বল আরও মিথ্যা বলো,মিথ্যুক।মন চাইতাছে পুকুর এ নামিয়ে চুবানি দিতে।!
-অই কালকে এইখানে আবার আসবা আমি সিম্মিরে নিয়া আসব সাথে কইরা,নিজেই জিজ্ঞাস করে নিও ও আমার কে?
-আনা লাগবে না, তোমার চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে তুমি সত্য বলছো,সরি ভুল বুঝবার জন্য।
-বাহ! চমৎকার!শশুর বাবাজি তোমাকে আবার চেহাড়া পড়ার উপরেও ও শিক্ষা দিছেন?
-অই ফাজিল ছেলে ফাজলামি করবি না নয়ত চুবানি খাবি,কেনরে তুই এমন করিস?এতো কষ্ট দিস কেনরে ফাজিল ছেলে?তোর সাথে কোন মেয়েকে দেখলে আমার মন কাদে রে,সব সময় তোকে হারাবার চিন্তা মনের মাঝে কষাঘাত করতে থাকে,আমি তো তোকে হারাতে চাইনা রে ফাজিল ছেলে।আমি তোকে অনেক ভালবাসি রে....
(মেয়েটার চোখের কোন বেয়ে জল পরছে,তার এই চোখের জল গুলো আসলেই পবিত্র ছিল)
-অই মেয়ে কান্না করিস কেনো?এতোদিন শুনে আসছি ছেলেদের আবেগ নাকি বেশি হয়,এখন দেখি তর আবেগ ও অনেক বেশি।আমি তোকে আগেই বলছি,জীবন থাকা অব্দী কখন ও তোকে ছেড়ে কোথায় যাবনা রে....
(অতঃপর মেয়েটা উঠে এসে আমায় জড়িয়ে ধরল।)
-
হায়রে ভালবাসা,যে এর মাঝে পরে সে আর বেড়িয়ে আসতে পারেনা।
আর এরকম অনেক ভালবাসার গল্প গুলো অসম্পূর্ণ থেকে যায়,মাঝ পথেই সাটা হয় "ব্রেকআপ " নামের পোষ্টার।
-
আসলে চকচক করলেই তো আর আসল সোনা হয়না,খাদ মিশ্রিত থাকবে যা আপনাকে পরিক্ষা করে নিতে হবে,সোনা খাটি নাকি নকল।
তেমনি ভালবাসা ও কখন ও খাটি হয় না।চাকচিক্য, সুন্দর চেহাড়া ভাল ব্যবহার।,চুলে স্পাইক ভাল সুগন্ধী,ভ্রপ্লাক করা এসবে একটা মেয়ে বা ছেলের ভালবাসা খাটি হয় না।
এর মাঝেও খাদ মিশ্রিত থাকে!
যেমনঃ-সন্দেহ,মিস- আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইত্যাদি।
-
একটা সম্পর্ক কে নষ্ট করে দিতে সন্দেহ নামক জিনিশটা খুবই প্রভাব বিস্তার করে।
একটা সম্পর্কে বিষ হয়ে মিশ্রিত হয় এবং এর ফলে অপমৃত্যু ঘটে একটা ভালবাসার।
-
ভালবাসা কোন দোষ বা অন্যায় না,ধনী গরিব সকলের জন্য ভালবাসাটা সমান।
একজন ধনীর ভালবাসা শোভা পায় হয়ত নিজের গাড়িতে,না হয় DSLR ক্যামেরাতে।
আর অপরদিকে একটা গরিবের ভালবাসা শোভা পায় তার কুঁড়েঘর এ,তার মনে,তার অন্তরে।
মাধ্যম যাই হোক না কেন ভালবাসা টা কিন্তু একই থাকে।--
-
গুনী জনরা বলেছেন "পৃথিবীটা ভালবাসার উপরে টিকে আছে"।মনে হয় তাই,নয়ত পৃথিবীটা এতোদিন নরকে পতিত হতো।
-
ভাল থাকুক ভালবাসায় আগলে রাখা মানুষগুলো।
সুন্দর হোক প্রতিটি মানুষের জীবন,তাদের জীবন এর গল্প গুলো লিখা হোক সুন্দর করে মাধুর্যতা মিশিয়ে।
তাদের ভালবাসা হোক অনেক পবিত্র, শাশ্বত, সিক্তময় ও খাদ বিহীন.... এই কামনা
-
বিঃদ্রঃ এইটা শুধু একটা কাল্পনিক গল্প,যার বাস্তবিক রূপ আমি কখনই দিতে সক্ষম হবোনা।-
জানিনা কেমন হয়েছে,ভাল হলে অবশ্যই বলবেন এতে করে লেখালেখিতে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।---
লুলুলু
--ললনা, একটা কথা জিজ্ঞাস করব?
-কী, বল।
- তোমরা তো দুইটা জমজ বোন।....
-তো কী হইছে?
-কিছুনা,তবে তোমরা দুই জন জমজ হইলা কিভাবে?
-জানিনা।
-কেন?
-অই কথা প্যাঁচানো বন্ধ করে বলো কী হইছে?
-কিচ্ছুনা,আমিও চাই আমাদের দুইটা টুইন বেবি হোক?
-ওলে বাবালে,এহ! এখনই বেবির চিন্তা,অই ছেমড়া আগে নিজের পায়ে দাড়া এর পর আমাকে নিয়া স্বপ্ন দেখিস.. কেমন?
-কী বল আমি কী অন্য কাউর পায়ে দাড়াইছি?
-অই চুপ্প! আর কী বলতে চাও বলো।...
-অই যে জিজ্ঞাস করলাম, টুইন বেবি হয় কেনো?
-অই শয়তান ভাগ, পরে দেখা হইব আবার, তমার সাথে একজায়গায় যাব।
-আচ্ছা উত্তর টা দিলানা?
-তোমার আম্মুরে জিজ্ঞাস কইরো।
-আম্মুরে? নাহ লজ্জা করে হুহ...
-তোমার আবার লজ্জা ও আছে?
-না নাই,যাও তোমার মাষ্টারকপি বোনের সাথে যেখানে যাবা।...
-
-
আসলেই ভালবাসার বন্ধনে আটকে রাখা মানুষগুলো কে নিয়ে অনেক চিন্তা,মাথায় আসতে থাকে।
নিজের একটা সংসার হবে,থাকার একটা ঘড় হবে।
ইট দিয়ে গড়া হোক,বা কুঁড়েঘর হোক সেই ঘড়ে থাকে সুখে থাকার স্বপ্ন।...
সুখ মানে বিশাল অট্টালিকায় থাকা না,কুঁড়েঘরে থাকলেও সুখ এসে ধরা দিবে আপনার জীবনে।
-
-
অতঃপর বাসায় গিয়ে,রাতের খাবার খেতে বসলাম....।
আম্মুকে জিজ্ঞাস করব ভাবতে ভাবতে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।...
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠি ৮:৩০ টায়।
সকাল বেলা আম্মু প্রতিদিন হাটতে যায়,আজকেও গেছেন কি ভাইবা বাসায় ফেরার পথে কলা কিনে আনছেন।
ঘুম থেকে উঠে কলা দেখে লোভ সামল দিতে পারলাম না,ওয়াশরুম থেকে পরিষ্কার হয়ে বসে পরলাম কলা খেতে ২ টা খাওয়ার পরে আম্মুর আগমন...
-অই জমিদার?
-কাকে বলছো আম্মু?
-কাউরে না তরে বলতাছি,সারাদিন ঘুড়াঘুড়ি আর সকাল, ৯ টায় ঘুম থেকা ওঠা,জমিদার বলে কথা।আবার বইসা পরছত খাইতে।
-অই আমি জমিদার বাবার ছেলে বলে কথা।
-অই এইদিকে দেখ এই কলাটা খাবি না।
-কেন কী হইছে।
-হায়রে বোকা এইটা জমজ কলা,তরা জানি কি বলছ টুইন নাকি ওইটা।
-হুম্ম,টুইন তো কী হইছে? কি হবে খেলে?
-দেখবি তর ও টুইন বাচ্চা হইব।
-অহহ!!ওক্কে খাব না।
-
-
কী ভাগ্য, প্রশ্ন না জিজ্ঞাস করতেই উত্তর পেলাম।...
-
এবার আমার ও টুইন বেবি হইব। হি হি।
দিলাফ ফোন রমা কে।...
-হ্যাল,কই তুমি?
-বাসায়, কেন?
-জরুরী কথা আছে,আমাদের প্রিয় জায়গাটায় আস।
-আচ্ছা আসতাছি।
-
-
আজকে তো অনেক খুশি, জানুরে তো আজকা লজ্জা দিতাম...।
অতঃপর দুজন একসাথে, একই জায়গায়।..
-অই কী কথা বলো?
-আমাদের টুইন বেবি চাই।
-তো আমি কি করব?
-জানু তুমি না প্রতিদিন জমজ কলা,আম,আপেল এগুলা খাবে?
-তো কী হবে এতে?
-আমাদের টুইন বেবি হবে।!
-কে বলছে? এই কথা?
-আম্মু বলছে...
-কী তুমি আবার জিজ্ঞাস ও করছো?আর শোন আমাদের টুইন বেবি লাগবে না।ওকে?
-কেন?
-মনে আছে তুমি মাঝে।মাঝে তমাকে রমা মানে আমায় মনে করে সামনে গিয়ে জিজ্ঞাস করো,নাম কী?এর পর নাম তমা জানার পরে sorry বইলা পালাও?
-তো কী হইছে?
-তাহলে আমাদের টুইন বেবি হলে তাদের সাথেও এমন হবে...?
-তুমিতো ৫ জি গতীতে ভাবতাছো?
-অই চুপ্প থাকতো, কফি শপে যাব গেলে আস, নয়ত গেলাম।.
-হুহ বুজছি বিল আমাকে দিয়ে দেয়ানোর ধান্দা?
-হুম্ম,যাও বল তুমিই দিও
-
অই আমার কিন্তু টুইন বেবি ই
চাই...
শিক্ষনীয়
একজোড়া কপোত কপোতির মাঝে কথোপকথন ----
*
-এই তুমি এগুলো কি পরছো?
-শাড়ি পরেছি,অই যে তোমার গিফট দেয়া শাড়িটা!
-তাতো আমিও দেখতে পাচ্ছি যে এইটা একটা শাড়ি,কিন্তু শাড়ি এভাবে পরছো কেন?
-মন চাইছে পরছি কেন কী হইছে...?
-শোন এইটা এমরিকা না যে ছোট ছোট কিংবা নতুন ডিজাইনের পোশাক পরিধান করবে?
-আচ্ছা শাড়িটা কি বাংলাদেশের পোশাক না?
-শাড়ি বাংলাদেশের পোশাক ঠিকই কিন্তু তোমরা এর অবমাননা করো।এই কেমন পোশাক যেইটা পরলে শরীরের দেহখানা দেখা যাবে?পিঠ খোলা দেখা যাবে,তাহলে তো কাপড় না পরলেই পারতে।...
-
কী বুঝলেন? একটা লোক তার স্ত্রী কে তার লেবাস, তার চালচলন, তার পর্দা ঠিক করতে বলছেন...
কিন্তু লাভ কী যদি স্ত্রী না মানে?
একটা নারীর উপরে তার সম্পূর্ণ অধিকার নিহিত। কিন্তু কোন পর পুরুষ এর তো কোন অধিকার নেই?
তাহলে কেন এমন জিনিশ পরবেন যা দেখে কোন অচেনা ব্যক্তি আপনাকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে?
-
স্ত্রী কে পর্দার সাথে চালানো তার স্বামীর দায়িত্ব, তবে কেন একটা স্বামী তাকে ভাল পথ দেখাবে না?
-
আসলে কী আমাদের দেহের শিরায় শিরায় আধুনিকতার ডিএনএ মিশে গেছে,আর এই আধুনিকতার কারনেই আজকে এই অবস্থা।....
-
আধুনিকতার মানে কী?মেয়েদের জিন্সপ্যান্ট আর টিসার্ট পরা?একটা স্ত্রীর আধাখোলা শাড়ী পড়া?
তাহলে এমন আধুনিকতার দরকার কী?যা দ্বারা আপনার মান খুন্ন হবে? দশ জন পরপুরুষ এর নজড়ে আসবেন?
-
এর পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়ি কারা জানেন,যারা এসকল কাজে বাধা দেননা।
একটা মহিলার স্বামী,একটা মেয়ের বাবা মা এরা।
যদি তারা তাদের ভাল শিক্ষা দিতেন তাহলে আর মেয়েতা এমন হতোনা....।
-
অনেক মেয়ে আছে যারা নামে মাত্র মুসলিম কিন্তু আরবি হরফ ২৯ টির একটাও জানেনা,তার পরেও সে মুসলিম।
শুধু মেয়ে না অনেক ছেলেরাও আছে।-
কারন তাকে ইসলামিক শিক্ষা দেয়া হয়নি।
-
যখন একটা মেয়ে খারাপ পোশাক পরিধান করে তখন এর বিরুদ্ধে কথা বলা উচিৎ তার পিতামাতার তার স্বামীর। বাইরে সমাজের কোন ব্যক্তির না।তারা তো সেই মেয়েটাকে উপভোগ করবে,বিনা টাকায় বলিউড এর ছবি দেখার মত।
-
তাহলে কেন আপুরা নিজেকে অন্যের কাছে বিক্রিত করছেন? কেন পাপের ভাগিদারী হচ্ছেন?কী উত্তর দিবেন আধুনিকতা এর মূল কারন?
-
এর পেছনে কোন ছেলে বা মেয়েকে দোষারোপ করা ঠিক হবেনা।এর প্রতি দোষ গুলা সমান সমান।....
কেননা মেয়েটা অশ্নিল কাপড় পরিধান করছে যার ফলে একটা ছেলের চিন্তা দ্বারা নষ্ট হচ্ছে, তার বিবেকে পশুত্ব ভাব নাড়াচাড়া দিচ্ছে।
তাই শুধু একটা মেয়ে বা ছেলেকে দোষারোপ করাটা ঠিক হবেনা।...
-
একটা মেয়ের মাঝে যদি পরকালের ভয় থাকে তাহলে সে ঠিকই ভালভাবে চলবে আর এতে করে হয়ত একটা ছেলেও ও ভালভাবে চলবে।
আর এর জন্য একটা অভিভাবক এর দায়িত্ব অনেক বেশি।
কিন্তু এখানে তো আর একটা ছেলে বা মেয়ে নেই যে সে ঠিক হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে?
-
আর যার ফলে আমাদের এই আধুনিক সমাজে নতুন নতুন জিনিশ এর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে,ইভটিজিং, র্যাপিং যার মূলে রয়েছে গোটা যুব সমাজ। কিন্তু যুব সমাজ টা এমন তো আর নিজে নিজে হচ্ছেনা? এই যুবসমাজ টাকে নষ্ট করার পিছনে শুধুমাত্র পতিতা নারীরাই দায়ী!
-
আর যে মেয়েটা পরকালের উপরে আস্থা রাখে,ভয় কতে সেই আল্লাহ কে যিনি তার সৃষ্টিকারী। সে কখনই আধুনিকতা দেখাতে গিয়ে নিজেকে বিক্রিত করবেন না।আর যুব সমাজ কে ধ্বংসের দিকে ফেলবেন না।
-
আজকের শিশুরাই নাকি আগামীর ভবিষ্যৎ, কিন্তু একটা ছেলে মেয়ে শিশু আছে ততদিন সে একটা দেশের সম্পদ, আর যখন সে কিশোর কিশোরী হচ্ছে তখন সে আর দেশের সম্পদ থাকে না।কারন তখন যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যায়,যার ফলে দেশের ভবিষ্যৎ গুলার আগামমৃত্যু ঘটে....।
-
কী হল তাহলে? সমাজ,দেশ তো এইকূলে ও না ওই কূলেও না ঠিক মাঝখানে... ।
-
আর কিছু বলতে চাইনা,আসুন সকল ভাই বোনেরা সচেতন হই,জাগ্রত করি নিজেদের চিন্তাদ্বারা।দেশটাকে বিকৃত করা থেকে দূরে থাকি...।
সালাম সে সকল ভাই -বোন, পিতামাতা দের যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলেন,এ সুশিক্ষা দিয়েছেন তাদের কে।
-
বিঃদ্রঃ এতখন কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কারও কাছে খারাপ লাগলে দুঃখিত।.
.
লেখাঃ Anik hasan ( মঙ্গলগ্রহের এলিয়েন)
রক্তচোষা পিপড়া
রহমান সাহেব একজন সাধারান মানুষ।শুধু মাত্র একটা ছেলে তার...।
তার স্ত্রী সম্প্রতি কিছু বছর আগে ক্যান্সার এ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এর পরে আর তিনি আর বিয়ে করেননি।
-
ছেলেকে পড়ালেখা করানোর জন্য বিদেশে পাঠিয়েছেন...।
-
তার ছেলের পড়ালেখা শেষ হয়ে গেলে সে ওখানেই একটা চাকরী পায়...।
খুব ভালই টাকা পেত সেখানে..।
-
রহমান সাহেব তার গ্রামের জমিজমা বিক্রি করে শহরে এসে জায়গা কিনে তাতে বাড়ি বানানোর সিদ্বান্ত নেয়।...
জমি বিক্রি করা টাকা ও তার ছেলের পাঠানো টাকা দিয়ে সে বাড়িটা বানাতে চায়...
-
তাই সে প্রথমেই শহরে এসে একটা ভাল জমি ক্রয় করে....।
-
বাড়ি বানানোর জন্য ইট,বালু,রড,সিমেন্ট সব আনা শেষ....।
যেদিন কাজে হাত লাগাতে যাবে ঠিক সেদিনেই তার কাছে একটা লোক আসে..।সাথে কিছু ছেলে ও আসে মোট সাত জন..।
সেখানকার এলাকাবাসীরা তাকে একনামে চিনে।... বাবু -- সবাই বাবু ভাই ডাকে।
খুবই প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশালী মানুষ...
-
এসেই রহমান সাহেবের সাথে কথোপকথন --- ↓
-চাচা এদিকে আসেন..।
-জ্বী,বলো বাবা কি?
-বাড়িটা কি আপনিই তৈরী করছেন?
-হ্যা,আমিই। কেনো?
-আমরা এসেছি আপনার কাছে কমিশন চাইতে।
-কিসের কমিশন??
-অই বুইড়া কথা বুজস না?বাড়ি বানাবি আমার এলাকায় আর আমারে কিছুই দিবিনা?
-বাবা আমার কাছে ততো টাকা না যে তোমাদের দিব।
গ্রামের জায়গা বিক্রি করে শহরে এসেছি বাড়ি বানাতে।
(বাবু পকেট থেকে একটা পিস্তল বের করে রহমান সাহেবের সামনে রাখল)
-এটা কি দেখছত?টাকা না দিলে সব কয়টা ক্যাপসুল তোর শরিরে ভইরা দিমু।...এখন তুই সিদ্বান্ত নে, টাকা দিবি নাকি মরবি??
আজকে গেলাম ৩ দিন সময় দিচ্ছি আর এর মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা আমার হাতে দিবি আর নয়ত বুঝতেই পারসস...।
-
(রহমান সাহেব চিন্তায় পরে গেলেন।
কি করবেন কিছু ভাবতে না পেতে ছেলের কাছে ফোন দেন---
-হ্যাল, বাবা কেমন আছেন?
-আছি ভালই।...
-বাড়ির কাজ কেমন চলছে?
-বাড়ির কাজ বন্ধ খুব চিন্তায় আছি.
-কেন কী হয়েছে?
-এখানকার খুব ক্ষমতাশালী লোক এসে ১০ লক্ষ টাকা চাদা চেয়ে গেছে।..কি করব কিছু বুজতেছি না।...
-কি বলো বাবা??
তুমি পুলিশের কাছে যাওনা কেন?
-ভাবছি যাব দেখি কি হয়..আচ্ছা বাবা তুই এখন ফোনটা রাখ।
-আচ্ছা বাবা রাখলাম ভাল থেক।
-
রাত ৯:০০ টা বাজে.....
রহমান সাহেব পুলিশ স্টেশনে গিয়ে একটা রিপোর্ট করে আসে।...
সে কি জানে যে এতে কোন লাভ নেই।....
পুলিশ স্টেশন চলেই যে বাবু ভাইয়ের নামে...।
-
সকাল বেলা বাবু আবার তার কাছে আসে---
-আহা চাচা কথা বুঝতে পারেন নাই?আপনি কালকে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করছেন।
ভাবছেন টাকা না দিয়েই বেচে যাবেন?
-আমি যে পুলিশের কাছে গেছি তা তুমি জানলে কিভাবে?
-আগেই বলছি এই এলাকা আমার।আমি যা বলব তাই হবে।
কই টাকা কই? যলদি দে নয়ত তোর আজকেই শেষ দিন।
- দেখ বাবা আমি এতো টাকা কিভাবে দিব?
-আমি এতো কিছু জানিনা টাকা দে।
(মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে)
-আমি ৩ গুনব হয় টাকা দিবি না হয় মরবে।
(গুনা শেষ সে টাকা দিতে রাজি হলনা।
বন্দুকের টিগার চেপে দিল বাবু,হত্যা করল রহমান সাহেবকে।...)
-
তার নিথর দেহ খানা পরে রইল তার ক্রয়কৃত জমিটাতে...
রক্তে ভিজে গেছে সেখান কার মাটি--।
রক্ত জমে একটা আস্তরণ পরে আছে আর এর চারদিকে অনেক গুলো পিঁপড়া এসে রক্ত খাচ্ছে ---।)
-
খবর পেয়ে তার ছেলে দেশে ছুটে আসল।..
কি আর করার এসে বাবার নিথর দেহখানাকে কবরে শায়িত করে আসল।...
-
সে টাকাটা দিয়ে দিলে বেচে থাকত কিন্তু তার বাড়ি বানানো হতনা।...
তিনি মরে যাবার পরে ও তা আর হলনা।...
টাকাটা দিয়ে দিলে কি আর হতো??
বাড়িটা বানানো হতোনা কিন্তু সে তো বেচে থাকতো,।
আর অই বাবুর ঈ বা কি লাভটা হল??
এমনি একটা মানুষকে মেরে ফেলল।
-
তার ছেলে তো এর বিচার ও পাবেনা।..
কারন,পুলিশ তো বাবুরই লোক।...
-
-
এটা কয়েক লাইনের গল্প হলেও এমন ঘটনা তো ঘটেই চলছে।...
যা আপনারাও জানেন।....
ধরেন আপনি এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন, কি করবেন আপনি/?
টাকা দিবেন নাকি দিবেন না...।
-
আমি শিওর ১০০ জন মানুষের মাঝে ৯০ জন টাকা দিতে রাজি হবে।
বাকি রইল ১০ জন এরা টাকা দিবেনা কারন তার সামর্থ্য নেই।
ফলসরূপ তাকেও এই রহমান সাহেবের মত মরতে হবে..
-
কি করবেন আপনি,?
কিছু করার নেই এতে আপনার ক্ষতি হবে।...
-
বিঃদ্রঃএটা একটা কাল্পনিকতা মেশানো গল্প তবে এর একটা অংশও মিথ্যা নয়।
আর এটা আপনারাও জানেন।
-
সকলে ভাল থাকবেন --।
-
গল্পঃ*** রক্তচোশা পিঁপড়া ***
লেখাঃ Anik Hasan